স্থানীয়রা জানান, উপজেলা বালিপাড়ার চর সাউদখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটির প্রধান শিক্ষক মোস্তফা ফয়সাল দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানসহ প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
একইভাবে চলছে উপজেলার খেঁজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সেখানেও মাত্র একজন প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ে যাবতীয় কার্যক্রম।
বিদ্যালয় দুইটি ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে একজন স্যার ছাড়া আর কেউরে দেখি না। আমাদের নিয়মিত ক্লাস হয় না এবং ক্লাসের রুটিন অনুসারে আমরা পড়তে পারি না। এমনকি মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ের পিটিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হয় না। বছরের শুরু থেকে ক্লাস না করতে পারলে আমাদের লেখাপড়া চরম ক্ষতি হবে। কীভাবে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নেবো?
স্থানীয় অভিভাবক লোকমানসহ একাধিক অভিভাবকরা জানান, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের কাজে বাইরে থাকেন। তাহলে কীভাবে এ বিদ্যালয়টি চলে?
খেঁজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে রিফাত সুলতানা নামে একজন সহকারী শিক্ষিকা যোগদান করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আর বিদ্যালয়ে আসেননি। অন্য আর একজন সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণে আছেন। আমার একার পক্ষে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা থেকে।
বালিপাড়ার চর সাউদখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটির প্রধান শিক্ষক মোস্তফা ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়টিতে মৌখিকভাবে একজন শিক্ষক দিয়েছে ২/৩ দিন আগে। বিদ্যালয়টি নদীর মাঝে চরাঞ্চলে হওয়ায় কোনো শিক্ষক থাকেন না। আমরা ধরে রাখার জন্য শত চেষ্টা করলেও তারা তদবির করে বদলি হয়ে চলে যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খেঁজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়টির সহকারী শিক্ষক রিফাত সুলতানা অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বালিপাড়ার চর সাউদখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার বিদ্যালয়টিতে অনেক শিক্ষক দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকরা যোগদান করে না বিভিন্ন তদবিরে অন্য স্থানে চলে যান। এ বিদ্যালয়ে শিগগিরই শিক্ষক দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এনটি