ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি অযৌক্তিক

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি অযৌক্তিক

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছেন বিভাগের শিক্ষকরা।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ দাবি করেন।

শিক্ষকেরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাসের সঙ্গে রাবির পপুলেশন সায়েন্সের মাত্র ২০ শতাংশ মিল রয়েছে।

অন্যদিকে, বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি মিল রয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে পিএসসিতে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার অবস্থান, মানববন্ধন, মিছিল কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে বিভাগের নাম পরিবর্তন দাবি করে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের মোট ক্রেডিট ১৬০। যার মধ্যে তত্ত্বীয় ১২৮, ব্যবহারিক ২৪ ও মৌখিক ৮। তত্ত্বীয় ক্রেডিটের ৬৪ ক্রেডিট পপুলেশন সায়েন্স, ১৬ ক্রেডিট হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ২০ ক্রেডিট পরিসংখ্যান এবং বাকি ক্রেডিটগুলো সাবজেক্ট রিলেটেড।

ঢাবির ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের সিলেবাসের সঙ্গে রাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সিলেবাসের মাত্র ২০.৩ শতাংশ মিল রয়েছে। তাই বিভাগের নাম পরিবর্তনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস প্রণয়ন করেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষার্থীরা যেই ৭২ শতাংশ মিলের কথা বলছে সেই হিসাব তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের কোথাও ভুল হয়েছে।  

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আমরণ অনশন শুরু করে তারা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা বিষয়ে জরুরি সভার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিতের আহ্বান জানান। এরপরও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি জারি রাখেন। টানা ৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সভার সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোর্স সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ঢাবির ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সঙ্গে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের তুলনা দেখান। এতে উল্লেখ করা হয়, ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৩২টি কোর্সে মোট ১৪০ ক্রেডিট পড়ে থাকে। এর মধ্যে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ১০১ ক্রেডিট পড়ানো হয়। যা ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ের সঙ্গে ৭২.১৪ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান হক, আব্দুল গণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।