চট্টগ্রাম: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ২০১০ ও ১১ সালের তুলনামূলক ফলাফলে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত সাংবাদিকদের জানান, ‘এবার পাসের হার বেড়েছে ৭২ দশমিক ৬৫।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের জেএসসি ফলাফলের চেয়ে কেন্দ্র ৫টি বেড়ে এবার ১৮২টি, বিদ্যালয় ১৭টি বেড়ে ১ হাজার ৭৯টি, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৬৬ জন বেড়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮ জন, উপস্থিতির সংখ্যা ২৩ হাজার ২০১ জন বেড়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬০ জন, ছাত্র পাসের হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৭৬ দশমিক ৩২ শতাংশে, ছাত্রী পাসের হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরের শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৩ থেকে কমে ৮১ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মহানগর বাদে জেলার পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আবার মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৭০ দশমিক ৭০ থেকে বেড়ে ৭৩ দশমিক ২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার বাইরে এ বোর্ডের অধীনে আছে আরও চারটি জেলা। এর মধ্যে কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাসের হার গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। কমেছে রাঙামাটি জেলার পাসের হার।
কক্সবাজার জেলার পাসের হার ৬৯ দশমিক ০২ থেকে বেড়ে ৭৫ দশমিক ১০, খাগড়াছড়ি ৬২ দশমিক ৮১ থেকে বেড়ে ৬৬ দশমিক ৭০ এবং বান্দরবান ৫৮ দশমিক ৮৭ থেকে বেড়ে ৬৩ দশমিক ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে রাঙামাটি জেলার পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৩ থেকে ৭০ দশমিক ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়া বহিষ্কারের সংখ্যা ৮টি কমে ৫টিতে, অনুপস্থিতির সংখ্যা ১৩৫ জন কমে ৩ হাজার ৭৯৮ জন, স্থগিতের সংখ্যা ২৭ জন কমে ৬ জন এবং পাসের হার শতভাগ এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪টি কমে ৫২টিতে দাঁড়িয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমলেও উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
তাঁর মতে, কোনো বিদ্যালয়ে মাত্র ১ জন পরীক্ষার্থী থাকলে এবং সে পাস করলে বিদ্যালয়টি শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করে।
গত বছরের মতো এবারও পাসের হার শূন্য এমন বিদ্যালয় নেই চট্টগ্রাম বোর্ডে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১