সোমবার (২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণী শিক্ষক (এসিটি) ঐক্য পরিষদ।
মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপারিশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরও গত ২৬ মাসেও বিনা বেতনে পাঠদান করেও আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।
'গত বছর আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, তার ভিত্তিতে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আজও সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আজ সোমবার থেকে আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। '
বক্তারা বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ীকরণ এবং এসিটি ম্যানুয়েল ৩৬ ধারায় ও এসিটি সফল কম্পোনেন্ট হিসেবে বিনা শর্তে পরবর্তী প্রোগ্রামে স্থানান্তরের কথা থাকলেও তার কোনোটাই রক্ষা করা হয়নি।
শিক্ষকরা বলেন, অভিজ্ঞতা ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষায় বিশেষ অবদান এবং মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বিনা শর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে নিয়োগদান করা হোক। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মহান স্বাধীনতার মাসে এ ব্যাপারে সরাসরি আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষার অনুপস্থিতির কারণে ২০১৫ সাল থেকে ৩ বছর মেয়াদে নিজ প্রত্যেক জেলার মেধাবীদের সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে ৫ হাজার ২০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে মানববন্ধনে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
আরকেআর/এইচজে