তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি চার দফা দাবিতে বিভাগের প্রধানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেধে দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিভাগের ১৬১ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদ লিপি ও আল্টিমেটামের অনুলিপি সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মুহাম্মদ আলাউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগমের স্বামী।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগপত্রে বলেন, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভোজসভায় অংশ নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীকে বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জেরা করার পাশাপাশি হুমকি দিয়েছেন।
তারা বলেন, ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের সময় একই বিভাগের বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককে টোকেন সংগ্রহের কথা বলেন এক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওমর ফারুক নাখোশ হয়ে খাবার না নিয়ে চলে যান।
এ ঘটনার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভোজসভায় অংশ নিয়ে বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগমের স্বামী এমসি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন ওই স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীকে জেরা করার পাশাপাশি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগম ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও বহিরাগত একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর চার দফা দাবি জানিয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বিভাগের কোনো অনুষ্ঠানে মুহম্মদ আলাউদ্দিন উপস্থিত থাকলে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
চার দফা দাবিগুলো হলো- বর্তমান ছাত্র উপদেষ্টার পদ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে পরবর্তী ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যাচের একাডেমিক কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা এবং এ ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করা।
আগামী ৩ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে এসব দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ওমর ফারুক ও মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের মধ্যে এ রকম কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের অনুষ্ঠান অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
আরবি/