র্যাগিং ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ওই শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট বিভাগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (সোমবার, ২ মার্চ) সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তন্বী (ছদ্মনাম) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুষারকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে হাঁটছিলেন।
পরে তুষার ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে অনুষদ ভবনের সামনে এলে সেখানেও তারা আবার পথরোধ করে র্যাগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে গালি-গালাজ, হুমকি এবং মারধর করতে এগিয়ে আসেন।
এসময় অভিযুক্তরা, ‘তুই ক্যামনে ক্যাম্পাসে পড়িস দেখে নেবো। সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার বিভাগ আমাদের কিছুই করতে পারবে না। ’ বলে হুমকি দেন। এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রী আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বমি করেন। পরে তুষার তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাসে করে কুষ্টিয়া শহরে তার ম্যাসে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে তুষার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযুক্ত ছাত্রীদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নাই। তারা কেন এমন উগ্র আচরণ করেছেন আমি জানি না। আমি বাধা দিলেও আমাকে উপেক্ষা করে তারা নির্যাতন চালান। ’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা আমাকে ক্যাম্পাসে আসার ব্যাপারে হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করেছে। এ নিয়ে আমি খুব আতঙ্কে আছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ’
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি র্যাগিং বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি এবং প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছি। প্রক্টর মহোদয় বিষয়টি দেখছেন। সব কিছু যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা র্যাগিং বরদাশত করবো না, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নিষিদ্ধ থাকবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতির কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
আরএ