এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এ কমিটি ১ বছর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পাবে। নির্বাচন না হলে সেক্ষেত্রে ডাকসুর সভাপতি ৯০ দিন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন। সে হিসেবে ২৩ মার্চ ডাকসুর মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, কমিশন গঠন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
অপরদিকে ডাকসু গঠনতন্ত্রে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই উল্লেখ নেই। গঠনতন্ত্রের প্রথম খণ্ডের ৮ এর ৯(e)তে বলা হয়েছে, সভাপতি নির্বাচনের সময় এবং তারিখ ধার্য করে তা অবহিত করবেন এবং একজন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যতগুলি আবাসিক হল আছে ততজন নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন।
জানতে চাইলে গত নির্বাচনে প্রধান রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করে ঠিক করেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কমিশনের কার্যকারিতা থাকে না।
এদিকে নতুন নির্বাচন দেওয়ার জন্য ভিপি নুরুল হক নূরের প্যানেল ছাত্র অধিকার পরিষদ প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। ছাত্রলীগের একটি অংশও নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের আন্দোলনের কারণে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। আমরা চাই এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিণত হোক।
‘ডাকসু নির্বাচন কারো বদান্যতা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার। ইতোমধ্যে বর্তমান ডাকসুর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। আমরা আশা করবো নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের মাঝে যে শৈথিল্য দেখছি তা কাটিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ’
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর বাংলানিউজকে বলেন, নতুন নির্বাচনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান অগ্রগতি ও প্রশাসনের আগ্রহ নেই। ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যেও নতুন নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই। এটি ভালো লক্ষণ নয়। দীর্ঘদিন পর ছাত্ররাজনীতি আশার আলো দেখেছে; কিন্তু সেটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো জাতির জন্য কলঙ্কের হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই অতিদ্রুত ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন তারিখ ঘোষণা করবে। প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট দিনে ডাকসু নির্বাচন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। তবে গতবারের মতো নির্বাচন যেন না হয় সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
‘বর্তমান ডাকসুর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না দেখে আমরা শঙ্কায় আছি নির্বাচন আদৌ হবে কি না,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসকেবি/এমএ