করোনা সচেতনতায় জাতিসংঘ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ রয়েছে। তবে প্রশাসনিক বিভাগ খোলা থাকায় জনসমাগমের মধ্যে দিয়ে করোনা আতঙ্কেই কাজ করছেন তারা।
জানা যায়, করোনা সতর্কতায় গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল বন্ধ করার নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নোটিশে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ক্যাম্পাসে দর্শনার্থী ও বহিরাগত প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।
নোটিশে ক্লাস পরীক্ষা এবং আবাসিক হল বন্ধ করা হলেও বন্ধ করা হয়নি প্রশাসনকি কার্যক্রম। দিন দিন বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাতেও শনাক্ত হয়েছে করোনা রোগী।
ফলে প্রাণঘাতী ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়েই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। করোনা সতর্কতায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সেক্ষেত্রে তারাও চাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হোক।
পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ পরাগ বাংলানিউজকে বলেন, ‘করোনা সারাদেশে যেভাবে মহামারির মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে তাতে ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে তারপরও আমাদের ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরাও চাই যেন আমাদের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতিরি সভাপতি ও একাডেমিক শাখার কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, যেহেতু এই মহামারি ঠেকাতে আমাদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে সবার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, শনিবার (২১ মার্চ) আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজ রয়েছে। কাজ শেষ করে আমরা একসঙ্গে বসবো। সেখানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা সিদ্ধান্ত দেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
আরএ