শুক্রবার (২৭ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি এ শিক্ষা সহায়তার বিষয়টি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো শিশুদের ও স্কুলের কর্মচারীদের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের স্কুলগুলোও বন্ধ করতে হয়েছে।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর কারণে স্কুল বন্ধ থাকাকালে শিশুদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছে ইউনিসেফ।
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিশুরা যেন যথাযথ সামাজিক দূরত্বে থাকে সেজন্য টিভি, রেডিও, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইউনিসেফ। এই উদ্যোগে শিশুদের লেখাপড়া হবে অংশগ্রহণমূলক, এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হবে, শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের ওপর নজর রাখা হবে এবং সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পারছে তার মূল্যায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে শিশুদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রারম্ভিকভাবে শিক্ষার ধারবাহিকতা বিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে ইউনিসেফ ইতোমধ্যে সরকারকে সহযোগিতা করা শুরু করেছে। এর আওতায় ধারণ করা ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে, যার মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশুরা ঘরে বসে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে।
এই অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে ছেলে-মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাদের কীভাবে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সহযোগিতা করা যায়, সেই তথ্য বাবা-মা ও অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
স্কুল বন্ধের ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় রেখে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে যেন স্কুল পুনরায় চালু হলে সেগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠদানে প্রস্তুত থাকে এবং শিশুরাও যেন স্কুলে ফেরে তা নিশ্চিত করা যায়।
১৪৫ দেশে অংশীদারদের সঙ্গে যেসব কাজ করবে ইউনিসেফ- সরকারের সংকট মোকাবিলা পরিকল্পনায় সহায়তা, দ্রুত ঝুঁকি বিশ্লেষণ, তথ্য সংগ্রহ এবং স্কুল পুনরায় চালুর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নিরাপদে স্কুল পরিচালনার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে সহায়তা, অনুবাদ ও মুদ্রণের মতো গণযোগাযোগের কঠিন কাজগুলো করা, নিরাপদ বিদ্যালয় গাইডলাইন বিতরণ ও বাস্তবায়ন, স্কুলে হাইজিন উপকরণ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করা এবং রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার, নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শিক্ষক ও সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণ। শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা এবং অনলাইন, রেডিও ও টেলিভিশন ভিত্তিক বিকল্প শিক্ষা প্রোগ্রামের ডিজাইন ও সেগুলো তৈরি করাসহ দূরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। বৈশ্বিক মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় জ্ঞান বিনিময় ও সক্ষমতা তৈরি। ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলা নিয়েও ধারণা প্রদান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এসই/এইচএডি