বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করােনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে মহামারির রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসটি আরাও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ফলে, স্বাস্থ্যসেবায় অধিক আর্থিক বরাদ্দ যেমন প্রয়ােজন হবে, তেমনি বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দার প্রভাবসহ আমাদের আর্থিক ও সামাজিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ার বিরুদ্ধেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে দৈনিক খেটে খাওয়া হতদরিদ্র শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর এর প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী। সরকার হতদরিদ্র, প্রাপ্তিক জনগােষ্ঠী ও খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকেও এগিয়ে আসার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সমাজের অগ্রসর মানুষ হিসেবে এ চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরও জোরালাে ভূমিকা নেওয়ার প্রয়ােজন দেখা দিয়েছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক
বা দুই দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার জন্য বিনীত আহ্বান জানাচ্ছে। চারিদিকে যখন আমরা সবাই গৃহাভ্যন্তরে কাল কাটাচ্ছি, এ সময় এ মানবিক সহযোগিতার সঠিক প্রয়ােগ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমরা মনে করি।
সহযোগিতার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি তথা সামাজিক দূরত্ব, হোম কোয়ারেন্টিন, হাঁচি-কাশি-সর্দি সংক্রান্ত শুদ্ধাচার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা স্ব স্ব অবস্থান থেকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষকের কাছে আমাদের আহ্বান রইল।
বৈশ্বিক বিপর্যয়ে এ মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা সংবেদনশীলতার সঙ্গে একথাই প্রকাশ করতে চাই, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে শিক্ষক সমাজ আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
বাংলাদেশ। সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এসকেবি/ওএইচ/