শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলার চার উপজেলা থেকে এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এনিয়ে গত দু’দিনে জেলায় ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলো।
ইতোমধ্যে ১৪ জনের নমুনা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আইসোলেশনে থাকলেও অন্য ১৩ জন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভোলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নমুনা পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার দু’জন করে মোট আটজন রয়েছেন।
এদিকে জেলায় নতুন করে দু’জনসহ এখনো হোম কোয়োরেন্টিনে রয়েছেন ১১৯ জন।
অন্যদিকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ৩১৫ জনের। গত ২০ দিনে জেলায় সর্বমোট ৪৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। আইসোলেশনে ছিলেন তিনজন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন একজন।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে জানান, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ থাকায় জেলা সদরে আইসোলেশনে থাকা একজনসহ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে নতুন করে আরও আট জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ পাঠানো হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত ওই আট জন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনো পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জনসহ ১১৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যাদের মধ্যে সদরে ৩৯ জন, দৌলতখানে পাঁচজন, বোরহানউদ্দিনে নয়জন, লালমোহনে ১০ জন, চরফ্যাশনে ১৪ জন, তজুমদ্দিনে ৩৩ জন ও মনপুরা উপজেলায় নয়জন।
অন্যদিকে জেলায় সর্বমোট ৩১৫ জনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। যাদের মধ্যে সদরে ৯০ জন, দৌলতখানে ৪৪ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩৮ জন, লালমোহনে ৩৪ জন, চরফ্যাশনে ৪৭ জন, তজুমদ্দিনে ৪৪ জন ও মনপুরা উপজেলায় ২২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এসআরএস