করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় শুরু থেকেই বেগ পেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত কিটের সংকটে শনাক্তকরণ পরীক্ষা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ধীর গতিতে চলছে এদেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনা শনাক্তকরণে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ মহামারি প্রতিরোধে কাজ করতে চাই আমরা। আমাদের দক্ষ জনবল রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষকরা এ ভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রস্তুত বলে জানান উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আমি ইউজিসিসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের সহায়তার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুত আমরা করোনা ভাইরাস শনাক্তে কাজ শুরু করতে পারবো। ’
বর্তমানে বাংলাদেশে পিসিআর পদ্ধতিতে মলিকুলার টেস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হচ্ছে। এ ধরনের পরীক্ষায় এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু, পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন, কিটসহ বিভিন্ন যন্ত্র প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, ‘আমাদের ল্যাবরেটরিতে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস শনাক্তে এস কো বায়োসেপটিক্যাল প্লাস টু মেশিন, কিটসহ আরও কিছু জিনিস প্রয়োজন, যা আমাদের নেই। এগুলো দিলে আমরা আমাদের দক্ষ লোকবলের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এফএম