ঈদ বা রমজান উপলক্ষে হওয়া দীর্ঘ ছুটিতেও দেশের ক্যাম্পাসগুলো এরকম খালি থাকে না। বরং তখন আশপাশের এলাকার মানুষ দলবেঁধে ঘুরতে চলে আসেন ক্যাম্পাসে।
রোববার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ছুটিতে সব শিক্ষার্থীই চলে গেছেন বাড়িতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুরোটাই এখন ফাঁকা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি আবাসিক হলের সব হলগুলোও খালি। সব শিক্ষার্থীই বাড়ি চলে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের মেসগুলোও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কলা ভবন, ভিসি চত্বর, কার্জন হল, পলাশীর মোড় এবং বিজয় একাত্তর হলের সামনেসহ যেসব জায়গাগুলো সর্বদা শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে থাকতো, সেখানে এখন চোখে পড়ে না চিরচেনা আড্ডা। চারদিক সুনসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে একটু ঢুঁ মারলেই ক্যাম্পাস ফাঁকা হওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। আগে যেখানে লাইব্রেরিতে একটি সিট পাওয়ার আশায় ভোর থেকেই শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেতো, সেখানে এখন নেই কোনো মানুষ।
এছাড়াও ভিসির বাসভবন চত্বরের সামনে থেকে টিএসসির দিকে এগুলে বামে কলা ভবন পার হয়ে রোকেয়া হলের গেটে গিয়ে দেখা গেছে পুরোটাই নীরব। গেটের সামনে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা, মূল ফটকও তালাবন্ধ। কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া দেখা মেলেনি কারো। সংরক্ষিত প্রবেশ অধিকারও।
এ প্রসঙ্গে এ এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, এমন ফাঁকা ক্যাম্পাস এর আগে কখনো দেখিনি। কোনো কোলাহল নেই, মুখরতা নেই। একদিকে যেমন এ নীরবতা সুন্দর লাগে, আরেকদিকে আবার এতেই কষ্ট হয় ভীষণ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার জন্য অনেকেরই মন অস্থির হয়ে উঠেছে। কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়ারও উপায় নেই। তাই এখন শুধু অপেক্ষা আর প্রত্যাশা সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে ওঠার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এইচএমএস/এফএম