রোববার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাশ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে যদি কোনো শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যায় পড়ে আপৎকালীন সহায়তা হিসেবে তার পাশে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উপাচার্য স্যার এই বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রতিটি বিভাগীয় প্রধানের প্রতি। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বিভাগগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
এছাড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ৮ এপ্রিল থেকেই জরুরি টেলি স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে জানান ড. সুব্রত কুমার দাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী। তারা জানান, শিক্ষার্থীদের অনেককেই টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়। করোনায় টিউশনি যেমন বন্ধ, তেমনই তাদের অভিভাবকদের রোজগারও বন্ধ। এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানোয় শিক্ষকদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্যের বিষয়েই আমরা সজাগ আছি৷ ইতোমধ্যে টেলি স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে সবাইকে চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসুস্থতাজনিত সমস্যাতেও সহযোগিতা করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এমএস/এবি