এবার নিজেদের আঁকা শিল্পকর্ম বিক্রি এবং ছবি এঁকে অর্জিত অর্থে অনাহারী মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপ খুলে ক্যাম্পেইন শুরু করেন তারা।
‘ক্ষুধা নির্মূলে আঁকছি’ নামে একটি ইভেন্টও খুলেছেন তারা। শুরুতেই ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
একদিকে যেমন-শিল্পকর্ম কেনা এবং ছবি এঁকে নেওয়া মানুষের সাড়া মিলছে, তেমনি স্বেচ্ছায় ছবি আঁকার উদ্যোক্তাদের দলেও যোগ হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের চিত্র শিল্পীরা।
উদ্যোক্তাদের একজন রাবির চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক ইমরান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুরুতে আমরা অল্প কয়েকজন উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় কাজ করতে যুক্ত হচ্ছেন। আর ছবি এঁকে নেওয়ার জন্য গ্রাহকদেরও বেশ সাড়া পাচ্ছি। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে যোগাযোগ করছেন। তিনদিনে ফান্ডে প্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকার জমা করতে পেরেছি। ’আতিক ইমরান জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে আঁকা শ্রেষ্ঠ কিছু চিত্রকর্ম বিক্রি করবেন। সেগুলোর ছবি ধারণ করে মূল্যসহ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরির চিত্রকর্ম আঁকবেন তারা। বিনিময়ে যে টাকা পাবেন তা দিয়েই অনাহারী মানুষের ঘরে খাদ্য যোগাবেন। মানবিকতার জায়গা থেকে চিত্রশিল্পীরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
তারা মূলত ডিজিটাল অর্থাৎ পোট্রেট/ক্যারিকেচার (২০০-৫০০ টাকা), পেন্সিল স্কেচ, কালি-তুলি, পেন স্কেচ, ওয়াটার কালার, এক্রেলিক কালার, ওয়েল কালার (৫০০-২০০০ টাকা), বিভিন্ন ধরনের পেন্ডেন্ট, শাড়ি পেইন্টিং, গ্লাস পেইন্টিং, প্রিন্ট এবং ক্রাফটের কাজ করছেন।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম আরেক শিক্ষার্থী রাহুল দেবনাথ বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি যেহেতু খারাপ, তাই চিত্রকর্মগুলোর সফট কপি দেবো আমরা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছবিটি আমরাই দায়িত্ব নিয়ে স্ব-স্ব ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেবো। ’
তিনি জানান, যে কেউ শিল্পকর্ম কিনতে বা ছবি আঁকার অর্ডার করতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন-০১৭৬২-৩৩৩৫৪০ (আতিক ইমরান) ও ০১৭৬৭-৬৮২৭৪৭ (রাহুল দেবনাথ) নম্বরে। আর টাকা বিকাশ করতে পারবেন-০১৭৬২-৩৩৩৫৪০ (বিকাশ), ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠাতে পারবেন- ০১৭৬৭-৬৮২৭৪৭ (রকেট)।
সহযোগিতা পৌঁছানোর বিষয়ে আতিক ইমরান বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক অসহায়, দরিদ্র মানুষদের প্রথমে সহায়তা করবো। যদি ভালো ফান্ড পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে গ্রুপের সদস্যরা প্রত্যেকে যে যেখানে আছে তার আশ-পাশে খোঁজ নিয়ে দরিদ্র-অসহায়দের সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এএটি