চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের সংঘর্ষের জের ধরে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ চবি শাখা।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মামুনুল হকের অনুসারীরা তালা দিয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নাসিম হাসান বলেন, ‘তালা দেওয়া হয়নি। কলাপসিবল গেইট লাগিয়ে দিয়েছিল। যাতে অন্য কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। ’
এরপর সভাপতি মামুনুল হকের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।
পরে কলা অনুষদ ঝুপড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালেও এ দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
প্রতীকিভাবে তালা লাগানো হয়েছিল উল্লেখ করে মতবিনিময়ে ছাত্রলীগ চবি শাখার সভাপতি মামুনুল হক মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে যারা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকা-, মাদক ব্যবসা, অস্ত্রবাজি করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তাদেরকে সংগঠনের কর্মকা-ে যুক্ত করা হবে না। এছাড়াও ভবিষ্যতে তাদের সংগঠনে অর্ন্তভুক্ত করা হবে না। ’
তিনি আরো বলেন,‘শিক্ষা,শান্তি এবং ঐক্য’র ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চবি ক্যাম্পাসের সাধারন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তির স্বার্থে সবকিছু মোকাবেলা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে স্মারকলিপিতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যকে প্রত্যাহারের দাবিও করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ দাবি গুলো আলোচনার মাধ্যমে পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
মতবিনিময়ে অন্যান্যদের মধ্যে চবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল মনসুর শিকদার,যুগ্ম-সম্পাদক মো. সুমন মামুন, রুবায়েত হোসেন নিপুনসহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনের অনুসারী ও সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহেদ সারোয়ারের অনুসারীদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৪ জন আহত হয়। এর জের ধরেই ছাত্রলীগ সোমবার উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১২