সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিনকে ‘মিথ্যাবাদী ও দূর্নীতিবাজ’ আখ্যায়িত করে প্রদত্ত ইউজিসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাবি শিক্ষকরা।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর এ রকম মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা।
ইউজিসি চেয়ারম্যান তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালনকারী শিক্ষকদের নেতৃত্বদানকারী অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের নবীণবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত বরাদ্দ অপ্রতুল উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন।
পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সালেহ উদ্দিনকে ‘মিথ্যাবাদী ও দুর্নীতিবাজ’ অ্যাখায়িত করে বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি’র চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী শাবি ভিসি সালেহ উদ্দিনকে মিথ্যাবাদি উল্লেখ করে বলেন, ‘২১ শতকে এসেও শাবি ভিসি জ্ঞানের বালখিল্যতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে শাবি ২য় অবস্থানে রয়েছে। অথচ ভিসি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ’
এদিকে ইউজিসি চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে চরম অপমাণিত করা হয়েছে দাবি করে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল বলেন, ‘ইউজিসি’র চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে মিথ্যাবাদী বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে অপমান করার শামিল। ’
ইউজিসি’র চেয়ারম্যান যদি তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তাহলে শাবি শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল সকালে সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের কক্ষে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে রুদ্ধদার বৈঠক হয়। বৈঠকে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নেতৃত্ব দেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল ও বামপন্থী শিক্ষকদের নেতৃত্ব দেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস ও ড. ইউনুস।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে বাম সমর্থিত সিনিয়র শিক্ষকরা ইউজিসি চেয়ারম্যান অসম্মান বোধ করেন এমন বক্তব্য ভিসি’র পরিহার করা উচিত ছিল বলে উল্লেখ করলে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয়।