ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বছরের শুরুতেই অশুভ ছায়ায় অস্থিতিশীল শিক্ষাঙ্গন

শামসুল ইসলাম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১২
বছরের শুরুতেই অশুভ ছায়ায় অস্থিতিশীল শিক্ষাঙ্গন

শাবিপ্রবি: নতুন বছরের প্রথম প্রহর থেকেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাঙ্গনগুলো! অস্থিরতার চাদরে আবৃত হয়ে যাচ্ছে নানা ইস্যুতে।

ইতিমধ্যে, ছাত্রলীগের হামলার জের ধরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অর্নিদিষ্ঠকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।



এদিকে, ইউজিসি চেয়ারম্যান ও উপাচার্যের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)।

দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) দানা বাঁধে আন্দোলন। অবশেষে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার।  

অপরদিকে, ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)।

কুয়েট: ২ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ভোজে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করলে আয়োজক কমিটির সদস্য ছাত্রলীগ নেতারা এতে ক্ষিপ্ত হন। পরে ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ২০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

এ সময় অমর একুশে হলের ১০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। অবশেষে অর্নিদিষ্ঠকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুয়েট।

শাবি: ১ জানুয়ারি নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিনের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে উত্তপ্ত হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)।

২ জানুয়ারি এ নিয়ে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয় আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে। ইউজিসি চেয়ারম্যান শাবি পরিবারকে চরম অপমান করেছেন এ দাবিতে উপাচার্য ভবনে অবস্থান ও প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকবৃন্দ। সেই সঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অসম্মান বোধ করেন এমন বক্তব্য উপাচার্যের পরিহার করা উচিৎ ছিল বলে জানান বিশ্বদ্যালয়ের বামপন্থী শিক্ষকবৃন্দ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাবি উপাচার্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। পরে, কতিপয় শিক্ষকের অনুরোধে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন তিনি।

বুয়েট: র্পূব বিরোধের জের ধরে ৩১ ডিসেম্বর অষ্টম ব্যাচের ছাত্র সুজিত ও মিথুন মিলে ঈশান নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে সুজিত ও মিথুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করে।

রাবি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১ জানুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংর্ঘষ বাঁধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে এ হামলায় ৫ জন আহত হন। পুলিশ ১টি পিস্তল, অসংখ্য দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ ১ কর্মীকে আটক করে।

চবি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১ জানুয়ারি রাতে শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংর্ঘষ বাঁধে। এ সময় ৪ জন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে বছরের প্রথম প্রহর থেকেই এ ধরনের অস্থিতিশীলতা কারো কাম্য নয়। অস্থিতিশীলতার এ আগ্রাসন নিপাত যাক, শিক্ষাঙ্গনে ফিরে আসুক স্থিতিশীলতা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।