প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৩১ মে) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে ফল প্রকাশের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এসএসসির সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সবগুলো বোর্ডে এবছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন হাজারে ২৩টি, গতবছর ছিল দুই হাজার ৫৮৩টি।
আর শূন্য ভাগ পস করেছে ১০৪টি প্রতিষ্ঠান, গতবছর ছিল ১০৭টি।
এবছর ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ১০ লাথ ২১ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯২ জন এবং ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে আট লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ জন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবছর ২৮ হাজার ৭৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ৬০৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে। গতবছর ২৮ হাজার ৬৭৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা হয়েছে। তিন হাজার ৪৮২টি কেন্দ্রে।
গত ১০ বছর ধরে পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হলেও এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তা হয়নি উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, এ বিশেষ পরিস্থিতিতে সারাদেশে সব ধরনের পাবলিক পরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রধান পরীক্ষকদের নিরীক্ষিত ওএমআর ডাক বিভাগ বোর্ডগুলোতে পৌঁছে দিয়ে ফল প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আর কোভিড-১৯ এর কারণে ঘরে বসে মোবাইলে ফল পেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ফল পেয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেটেরও বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এমইউএম/এমআইএইচ/এএ