ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন।
রোববার (৩১ মে) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. তোফাজ্জুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ ভাগ। যা গত বার ছিল ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৯ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৫ জন।
ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ২২। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩২ ভাগ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৩২৬ জন ছাত্র ও ৫ হাজার ৭৬০ জন ছাত্রী। গত বারের তুলনায় এবার ৩ হাজার ৬৩ জন জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮২ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে ৪৪ হাজার ১২২ জন ছাত্র ও ৩৩ হাজার ৩৯০ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৯১ জন ছাত্র ও ৪৩ হাজার ৯৫৫ জন ছাত্রী। বিভাগওয়ারি পাসের হার ৭৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৪ হাজার ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৬২৭ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬৪ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৬৩ জন ছাত্রী। বিভাগের পাসের হার ৮০ দশমিক ৬২।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩২ জন। এখানে ৬ হাজার ২৫৯ জন ছাত্র ও ৫ হাজার ৫৭৩ জন ছাত্রী।
মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৬ জন এর মধ্যে ৫৫ জন ছাত্রী ও ১৭১ জন ছাত্র। ব্যবসা শিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ২৮ জন। এর মধ্যে ১২ জন ছাত্র ও ১৬ জন ছাত্রী।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর অসদুপায় অবলম্বন করে বহিষ্কার হয়েছিল ১০৫ জন পরীক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় ২ হাজার ৬৪৬টি বিদ্যালয়ে ২৭১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কেবল মাত্র গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ২৯৬ জন এবং ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩৮ জন। গ্রামের স্কুলগুলোতে গণিত ও ইংরেজিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত ফল করতে পারছে না বলে গণিত ও ইংরেজিতে অকৃতকার্যের সংখ্যা বেশি। উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গণিত ও ইংরেজির ব্যাপারে আরো বেশি কার্যকর ও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
আরএ