তবে আগের চেয়ে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এছাড়া বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ভার্চ্যুয়ালি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ক্ষুদেবার্তায় নিজ নিজ ফলাফল জানতে পারছে। এছাড়া অনলাইনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইট www.educationboardresults.gov.bd বোর্ড, রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারছে। ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দেশীয় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধম্যে বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এদিকে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সদ্য প্রকাশিত ফলাফলের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এবার পাসের হার সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ২০১৪ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর পর ২০১৫ সালে ছিল ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ২০১৬ সালে ছিল ৯৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ছিল ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ছিল ৮৬ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে ছিল ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ সালের ফল বিপর্যয়ের পর সাত বছরে পাসের হারে এবারই সর্বনিম্ন এ বোর্ডে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৭৪ জন। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৬২১ জন ছাত্রী ও ১২ হজার ৫৪৬ জন ছাত্র রয়েছে। এবছর রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ২৬৫২টি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ছিল ২ লাখ ১ হাজার ২২৯ জন শিক্ষার্থী।
বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ২ লাখ ১৮৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ১৪৩ জন। আর ছাত্রী ৯৬ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
চলতি বছর বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাস করেছে ৩০৮টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। তবে এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন পাসের হার শূণ্য এমন কোনো স্কুল নেই।
চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ২৬০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এসএস/ওএইচ/