একইসঙ্গে তিনি মরহুমে পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য ও রাজনৈতিক অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
শনিবার (১৩ জুন) এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, মোহাম্মদ নাসিম সব ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রেখেছেন।
‘বর্তমান সঙ্কটের সময় তার পরপারে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। দেশও একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে হারালো। ’
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এদেশের রাজনীতিতে যে অবদান রেখেছেন তা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
ড. সামসুদ্দিন আহমেদ শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন ৭২ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টায় করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিক্যাল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি তার শরীরে।
কয়েক দিন স্থিতিশীল থাকলেও গত ১১ জুন রক্তচাপ অস্বাভাবিক ওঠানামা করতে থাকে নাসিমের। এরপর ১২ জুন শুক্রবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও তিনি ১৪ দলের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এফএম/ওএইচ