ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

করোনা: অফলাইনেও করা যাবে পড়াশোনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
করোনা: অফলাইনেও করা যাবে পড়াশোনা

রাজশাহী: করোনাকালে ইন্টারনেটে ঘরে বসেই পড়াশোনা করতে  বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করেছে রাজশাহীর আইটি প্রতিষ্ঠান ‘ডেস্কটপ আইটি’। এজন্য সব সময় অনলাইনে থাকতে হবে না। কারণ, লাইভ নয়, বিশেষ এই সফটওয়্যারে পড়াশোনা করা যাবে অফলাইনে থেকেও। যখন প্রয়োজন অনলাইনে গিয়ে পাঠদানের ব্যাপরে ফিডব্যাক দিতে ও নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন ডেস্কটপ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা খালেদ লিজার।

লিজার বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এই সংকটকালে স্থবিরতা কাটাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে।

কিন্তু কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে লাইভ শেষে শিক্ষার্থীদের আর কিছু করার থাকে না। এ অসুবিধা দূর করতেই ডেস্কটপ আইটি অত্যাধুনিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি তৈরি করেছে। এই সিস্টেমে রয়েছে শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ অফলাইনে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

তার দাবি, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক করার লক্ষ্যে ডেস্কটপ আইটি গত পাঁচ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রমে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম Moodle এর ওপর ভিত্তি করে সিস্টেমটি তৈরি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে এটি তাই পরিপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে Moodle যুগান্তকারী আবিষ্কার। এরই আলোকে তৈরি তাদের সফটওয়্যারটির নাম ‘অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম’। এর ইউজার ফ্রেন্ডলি সিস্টেম এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করার সুবিধা এটিকে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক, মাইক্রোসফ্ট এবং ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বব্যাপী বড় ও ছোট এক লাখ ৫৯ হাজার প্রতিষ্ঠান এবং দুই কোটি ১১ লাখ ব্যবহারকারী প্রতিনিয়ত এটি ব্যবহার করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

লিজার আরও জানান, এই সফটওয়্যারে সম্পূর্ণ কোর্সকে সিলেবাস অনুসারে সাজাতে রয়েছে কোর্স ডিজাইন অপশন। একজন শিক্ষার্থী একটি বিষয়ে কতোটুকু শিখলো, তা জানতে রয়েছে স্মার্ট লার্নিং ট্র্যাকিং সিস্টেম। একই সিস্টেমে শিক্ষকরা হোম ওয়ার্ক দিতে পারবেন। শিক্ষার্থীরাও তা সম্পূর্ণ করে আবার পাঠাতে পারবে।

সফটওয়্যারটিতে অডিও, ভিডিও, টেক্সটসহ যেকোনো ধরনের ফাইল শেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন, ছোট প্রশ্ন,বড় প্রশ্ন ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে রয়েছে কুইজব্যাংক সুবিধা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চ্যাটবক্স ও ফোরামের মাধ্যমে মতবিনিময় ছাড়াও আছে অত্যাধুনিক ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে আগামীদিনের জন্য ইভেন্ট সিডিউলের ব্যবস্থা।

সিস্টেমটিতে ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ইউজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। কাস্টমাইজড গ্রেডিং সিস্টেম ও শিক্ষার্থীদের তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে রয়েছে ফিডব্যাক টুলস।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলসহ রাজশাহীর আরো বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাকালে এই সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজ শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন ডেস্কটপ আইটির এই কর্ণধার।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার রিলেশান অফিসার সরোয়ার সাকলায়েন, অ্যাডমিন মাহমুদ হোসেন, অ্যাকাউনন্ট্যান্ট আশিক উজ জামান উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৫ সালে কম্পিউটার ট্রেনিং নিয়ে শুরু হয় ডেস্কটপ আইটির যাত্রা। ১৯৯৮ সালে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডোমেইন, হোস্টিং ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করে। ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সেলস ও সার্ভিসিং সংযুক্ত হয়। আর্কাইভস ও ডিজিটাল আর্কাইভস নিয়ে তারা কাজ করছে ২০০৭ সাল থেকে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামের পর কলকাতা ও আমেরিকায় প্রতিষ্ঠানটির অফিস রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এসএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।