ঢাকা: মেধাস্বত্ব আইন প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। এই আইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে মানুষ কাজের স্বীকৃতি পাবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাসত্ত্ব আইন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি ফোরাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহনাজ হুদা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক শারিফা খান, বাংলাদেশ কপিরাইট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, জনসংযোগ কর্মকর্তা তামান্না ফাইয।
সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আরিফ জামিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক শারিফা খান বলেন, ‘মেধাস্বত্ব আইন বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। ১৯১১ সালের পেটেন্ট, ১৯১২ সালের কপিরাইট এবং ১৯৪০ সালে ট্রেডমার্ক আইন এখনও যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। ’
ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খান বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম বাজারজাত করে প্রকাশকরা যেভাবে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন, নজরুল তার ১০ ভাগ আর্থিক সহায়তা পেলে অকালে মৃত্যুবরণ করতেন না। ’
বাংলাদেশ কপিরাইট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ৯১ ভাগ মানুষ পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। সঙ্গীত পাইরেসিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। এজন্য মেধাস্বত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন কার্যকর করা জরুরি। ’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১২