সোমবার (০৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
>>>৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় এসেছে
শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়া যায় কি-না সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সীমাবদ্ধ থাকবে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে নতুন এই বাস্তবতার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবো। করোনা পরবর্তী সময়ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষা পৌঁছাতে পারছে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাকি শিক্ষার্থীদের কাছেও অনলাইনে শিক্ষা পৌঁছে দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
টিউশন ফি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, একেবারে টিউশন ফি না দিলে প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।
অনলাইন আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল খালেক। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এমইউএম/এনটি