জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ক্লাস ও পরীক্ষা স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাগিদ দিয়েছে। ’
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ‘শিক্ষক সমাজ’-এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকের ভোটের মাধ্যমে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রক্টর আরজু মিয়া কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়ার ফলে যারা ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করেছেন, তারা নিশ্চয়ই সভাপতি সমর্থিত। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট করেছেন, সেখানে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় কিভাবে?’
এদিকে, ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মাইকিং করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মাইকিং এ বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবাইকে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হলো। ’ মাইকিং এ নিহত জুবায়ের আহমেদের জন্য মিলাদ মাহফিলের তথ্য প্রচার করা হয়।
এছাড়া ৪ দফা দাবিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে মশাল মিছিল বের করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১২