ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা, নিজস্ব শর্ত দিয়ে ভর্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা, নিজস্ব শর্ত দিয়ে ভর্তি

ঢাকা: ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে (এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তি পরীক্ষায় কেউ পাস বা ফেল করবে না।

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব শর্তারোপ করে সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।

ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছভুক্ত সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় কেউ পাস বা ফেল করবে না। প্রত্যেকেই পরীক্ষার ভিত্তিতে একটি স্কোর পাবে। পরবর্তীতে গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব শর্তারোপ করে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এবং সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।

আবেদনের যোগ্যতা
যে সব শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৭.০, বাণিজ্য শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৬.৫ ও মানবিক শাখার জন্য নূন্যতম জিপিএ ৬.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখাতে (বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় বিষয়সমূহের মানবণ্টন
বিজ্ঞান শাখা: বাংলা-১০, ইংরেজি-১০, পদার্থ বিজ্ঞান-২০, রসায়ন-২০, গণিত/জীববিজ্ঞান/আইসিটি-৪০, সর্বমোট ১০০।

বাণিজ্য শাখা: বাংলা-১৩, ইংরেজি-১২, হিসাববিজ্ঞান-২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-২৫, আইসিটি-২৫, সর্বমোট ১০০।

মানবিক শাখা: বাংলা-৪০, ইংরেজি-৩৫, আইসিটি-২৫, সর্বমোট ১০০।

বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ গ্রুপে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (গাজীপুর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে ‘টেকনিক্যাল সাব কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ‘অর্থ-কমিটি’ গঠন করা হয়।

সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফায়েক উজ্জামান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং গুচ্ছভুক্তসমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা (২০২০-২১) এর সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।