ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক সমাপনীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়ম প্রমাণিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
প্রাথমিক সমাপনীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়ম প্রমাণিত ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের সকল পরীক্ষায় পরীক্ষক-নিরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিভাগীয় মামলাটি রুজু করেন হবিগঞ্জ জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। শিক্ষকরা হলেন- শেখ নার্গিস আক্তার, জলি বেগম, আম্মাতুল কিবরিয়া, ইমরানা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, লাকী আক্তার, রুনা আক্তার, কল্পনা রাণী চক্রবর্তী, রীপা রাণী আচার্য্য, সোমা ভট্টাচার্য্য, হেনা দেব, আয়েশা খাতুন, প্রতিভা রাণী ঘোষ, লিজা আক্তার, তাজুল ইসলাম, আব্দুল হক, সত্যব্রত পাল, প্রদীপ পাল, পরিমল চন্দ্র দেব।  

এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে বলা হয় তালিকায় উল্লিখিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে তাদের সকল পরীক্ষায় পরীক্ষক-নিরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
 
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাহুবলের ১৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাইয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের কম নম্বর দিয়েছিলেন। পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল হলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেন। এরপর তদন্ত শুরু হয়।
 
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও ধর্মশিক্ষা বিষয়ের উত্তরপত্র যাচাইয়ে শিক্ষকরা অনিয়ম করেছিলেন। এরপর নম্বর কম পাওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
 
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তাদের ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।