ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কর্মপ্রয়াস শিল্পজগতে তাকে অমরত্ব এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শিল্পাচার্যের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ‘জয়নুল উৎসব-২০২০’ উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দিনটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিল্পাচার্যের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হােসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাে. নিজামুল হক ভূইয়া ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শিল্পাচার্য চারুকলা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। এ আর্ট ইনস্টিটিউট বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ হিসেবে সুপরিচিত। শিল্পাচার্যের অনবদ্য সৃষ্টি এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়া বিভিন্ন জনপদের লােকশিল্পগুলো সংগ্রহ করে রাখার জন্য শিল্পাচার্য নারায়ণগঞ্জের সােনারগাঁয়ে লােকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ফলে মানুষ সেগুলো দেখে দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, মাটি, মানুষ ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।
উপাচার্য আরও বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী ও মানবিক চিত্র অংকন করে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতি এনে দিয়েছে। জয়নুল আবেদিন বিভিন্ন চিত্রকর্মের মাধ্যমে নানাবিধ সামাজিক অসংগতি, অনিয়ম, বৈষম্য, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফুটিয়ে তুলেছেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
জয়নুল উৎসব-২০২০ উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের ওয়েব সাইটে শিল্পাচার্যের জীবন ও কর্মভিত্তিক আলােকচিত্র এবং শিল্পকর্মের ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর আয়ােজন করা হয়। এছাড়া চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরাসহ উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে আর্টকনের সহযােগিতায় থ্রিডি প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রদর্শনীর আয়ােজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এসকেবি/ওএইচ/