নীলফামারী: মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদ নেই, শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই। নেই কোনো অবকাঠামো।
ইউজিসি ওয়েবসাইটে জানানো হয় এ নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই। এর পর থেকে শুরু হয় তোলপাড়। একের পর এক বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়দানকারী এবিএম শরিফুজ্জামান শাহ একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক। তিনি আবার ড. ও অধ্যাপক লিখে থাকেন। তিনি প্রতারণার জাল বিস্তারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, বিশিষ্ট শিল্পপতি রাজকুমার (নোয়াহ গ্রুপ), মুক্তিযোদ্ধাসহ, শিক্ষক, প্রকৌশলীসহ প্রভাবশালী লোকদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় ইউজিসি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। গত বছর একটি ভাড়া বাসায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেন ওই কথিত ভিসি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে এ ধরনের প্রতারণা করতে দেওয়া হবে না। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ট্রাস্টিজ বোর্ডে সভাপতি করা হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, ভিসি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির লেখাপড়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া তার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক হওয়ায় আমি সরে এসেছি।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প প্রস্তাব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি নিয়োগের এখতিয়ার শুধুমাত্র রাস্ট্রপতির। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
আরএ