জাবি: বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৭ ফেরুয়ারি ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। যথাশীঘ্র সম্ভব পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সিন্ডিকেট সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, শিক্ষক সমাজের ব্যানারে কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এবং লিফলেট আকারে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়।
যে সকল গ্র্যাজুয়েট ৫ম সমাবর্তনে সনদ গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের রেজিস্ট্রেশন বহাল থাকবে এবং পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তনে তাদের আর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। সমাবর্তন স্থগিত করায় ২ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে পরিচয়পত্র ও সমাবর্তন গাউন বিতরণ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় গ্র্যাজুয়েটবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশনকারী গ্র্যাজুয়েট, সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রচারমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
অপরদিকে, শিক্ষক সমাজ ব্যানারের শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা সমাবর্তনের পক্ষে। সমাবর্তনের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনো কর্মসূচি আমরা দেই নি। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তা মঙ্গলজনক।
শিক্ষক সমাজ ব্যানারের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা চাই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু যারা সমাবর্তনে অংশ নিতে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শঙ্কিত। কারণ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জুবায়েরের বিচার হতে না হতেই ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফুল আলমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কী অবস্থা!’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জুবায়ের হত্যার বিচারসহ মোট ৭ দফা দাবিতে শিক্ষক সমাজ ব্যানারের শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গনসংযোগ(যা ইতোমধ্যে হয়েছে), ২ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট ও কালো পতাকাসহ ঢাকা আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন, ৪ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অনশন, ৫ ফেব্রুয়ারি সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ, ৬ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সমাবেশ ও অনশন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি আচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও খোলা চিঠি প্রদান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১২