ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ছাত্র শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও’ আন্দোলন ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? আমি অনেক ভেবে দেখেছি, আসলে এর কারণ কি? এর কারণ মূলত দুটি। একটি হলো, সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতি। সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ সন্তান বিদেশে থাকে। যাদের পরিবার-পরিজনের কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। আজ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, হাজার হাজার প্রাইমারি স্কুল বন্ধ আছে। তাদের প্রতি ক্ষমতাসীনদের যে নিষ্ঠুর আচরণ, সেটা বাংলাদেশের সংবিধানে যে বৈষম্যের নীতি আছে সেটার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরেকটি কারণ হলো, আমরা জানি শিক্ষাই হলো জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু দেশের সরকারের কাছে শাসনই হলো জাতির মেরুদণ্ড। তাই শাসনকার্যের জন্য যা প্রয়োজন অফিস-আদালত খোলা রাখা, শপিংমল খোলা রাখা, শাসনকে অব্যাহত রাখার জন্য যা দরকার সেটা হলে তাদের সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতি নিয়ে, শিক্ষা নিয়ে। এই দুটিকে স্টপ রাখতে পারলে সরকার নিরাপদ থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে সরকার যাই করুক তাতে কোনো প্রতিবাদ হবে না।
আরিফ বিল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাবেন না, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে চায় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা নিতে চায় না।
শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, এক সেমিস্টার শেষ না হওয়ার আগেই আরেক সেমিস্টার শুরু হয়। একটি সিম কার্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। মোবাইল ডিভাইস দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে বৈষম্য করা হয়েছে সেটা বিশ্বে নজিরবিহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এসকেবি/এইচএডি/