ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রতি সিটের জন্য ৬৪ শিক্ষার্থীর লড়াই

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
প্রতি সিটের জন্য ৬৪ শিক্ষার্থীর লড়াই চলছে ঢাবির ক ইউনিটের পরীক্ষা, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:  উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তিযুদ্ধে নামল এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।  

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকাসহ আট বিভাগে এ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

 

পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করেন। ক ইউনিটের পরীক্ষায় ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১৪ হাজার ৩২৮ জন), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১১ হাজার ২১৭ জন), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন সাত হাজার ৮০৬ জন), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন আট হাজার ৯২২ জন), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিন হাজার ৩০৫ জন), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিন হাজার ৪২৫ জন) ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০ হাজার ৩৫১ জন)।
 
ক ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক হাজার ৮১৫ আসনে ভর্তি হবে। এখানে আবেদন করেছেন এক লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন। যা গতবার ছিল ৮৮ হাজার ৯৭০। যার কারণে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ৪৯ থেকে বেড়ে ৬৪ জনে পৌঁছেছে।


  
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিস থেকে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা ১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে। পরীক্ষার মোট সময়ে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। মোট নম্বর হবে ১০০, এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ (MCQ)। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১৫। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। এছাড়া ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে, তা ৪৫ মিনিটের হবে। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১০। প্রতিটি প্রশ্নের মান দুই থেকে পাঁচ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অংশগ্রহণকারীদের পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ মোট চারটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
 
ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ (MCQ) অংশের পাস নম্বর ২৪। এমসিকিউ পরীক্ষায় ২৪ নম্বর পেলেই কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে 'ক' ইউনিটের মোট আসনের কমপক্ষে পাঁচ গুণ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত অংশের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১২। তবে ১০০ নম্বরের মধ্যে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় মোট পাস নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে, তাদের ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না। ’ছবি: শাকিল আহমেদ
 
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের অর্জিত মেধাস্কোরের ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এজন্য মাধ্যমিক /ও-লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত/হিসাবকৃত জিপিএকে দুই দিয়ে গুণ: উচ্চ মাধ্যমিক/এ-লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত/হিসাবকৃত জিপিএকে দুই দিয়ে গুণ করে এ দুইয়ের যোগফল ভর্তি পরীক্ষায় ১০০-তে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ দিয়ে ১২০ নম্বরের মধ্যে মেধাস্কোর নির্ণয় করে তার ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
  
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এসকেবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।