ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২১
টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট!

বরিশাল: টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচএম শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে।  

জাল সার্টিফিকেট বিক্রির টাকা নেওয়া সংক্রান্ত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

 

তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। এদিকে বিষয়টি শুনেছেন এবং খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ও মাউশি পরিচালক।  

বরিশাল নগরীর সি অ্যান্ড বি রোডের ফরাজী ওয়ার্কশপ সংলগ্ন ফজলুল হক রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিক সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচএম শামীম আহম্মেদ।  

ওই স্কুল থেকে শিক্ষক শামীম নিজেই সুমন নামে এক ব্যক্তিকে ২০০৯ সালে ৮ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মর্মে সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র দেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইলিয়াস খন্দকারের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে ২০১০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে ওই পত্র দু’টি দেন। এতে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও শেষে সুমনকে ৩ হাজার টাকায় তা দিতে রাজি হয় শিক্ষক শামীম। সার্টিফিকেটের বিনিময়ে নগদ অর্থ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার সৃষ্টি হয় বরিশালজুড়ে।

সার্টিফিকেট কেনা সুমন বলেন, আমি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট কিনতে যাই শিক্ষক শামীম আহম্মেদের কাছে। তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করলে আমি তিন হাজার টাকা দেই। তিনি ওই কলেজের অধ‌্যক্ষের পরিবর্তে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে সার্টিফিকেট ও প্রত‌্যয়নপত্র দেন।

বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত শিক্ষক এইচ এম শামীম আহম্মেদ।

কলেজ অধ‌্যক্ষ প্রফেসর মু. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজ খবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাধ‌্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শামীম নামে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

একজন শিক্ষকের সার্টিফিকেট বিক্রির বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। তদন্ত করে যথাযথ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে সচেতন সমাজ।

বরিশালের গবেষক আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, একজন শিক্ষক দ্বারা সনদ বিক্রির বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তিনি শিক্ষক জাতির জন‌্য কলঙ্ক। বিষয়টি তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।