ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে নেওয়া মাস্টারপ্ল্যানে অত্যধিক গুরুত্ব পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে আধুনিক সুযোগ সম্বলিত প্রস্তাবিত এ গ্রন্থাগার থাকবে চারটা ক্যাটাগরির।
মাস্টারপ্ল্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধ্যয়নের উপযোগী শিক্ষার্থীবান্ধব করে নতুন গ্রন্থাগারের সবকিছু বিন্যস্ত করা হয়েছে। ৯০০ জনের ব্যক্তিগত স্টাডি এরিয়া হিসেবে ২২ হাজার ৫৭১ বর্গফুট, ২১০০ জনের জন্য গ্রুপ স্টাডি এরিয়া হিসেবে থাকছে ৫২ হাজার বর্গফুট, যা মূল গ্রন্থাগারের ৭০ ভাগ, কম্পিউটার সুবিধা সম্পন্ন এরিয়া থাকবে ১০০ জনের জন্য ২৮৭৩ বর্গফুট এবং ১০ জন গবেষকদের জন্য থাকবে ১০০০ বর্গফুট।
এছাড়া ব্যক্তিগত জিনিস সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রাখতে থাকবে লকারের ব্যবস্থা। গ্রন্থাগারের ব্যক্তিগত, ছোট গ্রুপ ও বড় পরিসরে গ্রুপ স্টাডির জন্য আলাদা কক্ষ বিন্যাস করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে লাইব্রেরিতে শুটিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ার মনযোগ ব্যাহত হয়। বিষয়টি লক্ষ রেখে মাস্টারপ্ল্যানে আলাদা করে এসব কার্যাবলী ছাড়াও বিভিন্ন প্রদর্শনী, দুর্লভ সংগ্রহ ও শিক্ষার্থীদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে।
শব্দ দূষণ কমাতে গ্রুপ স্টাডি করা কক্ষগুলোতে থাকবে সাউন্ডপ্রুফের ব্যবস্থা। নিরাপত্তা সুবিধা, হেল্প জোন, ডেস্কটপ কম্পিউটার ফ্যাসিলিটি, ওয়াইফাই, প্রিন্ট, কপি স্ক্যানিং সুবিধা থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের দুর্লভ পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধাররের জন্য থাকবে ল্যাব। দুর্লভ জিনিসগুলো গ্রন্থাগারের জাদুঘরে রাখা হবে।
গ্রন্থাগারের তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আইসিটি বেইজড ডিজিটাল লাইব্রেরি ইলেকট্রনিক রিসোর্চ সুবিধা (ই-ক্যাটালগ, ই-বুক, ই-জার্নাল) ডিআরএম বা ডিজিটাল রাইট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্য প্ল্যাজারিজম চেক করার ব্যবস্থা থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য।
নতুন গ্রন্থাগারের পরিকল্পনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দীন মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটা প্রস্তাব মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের পড়ার সুবিধা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
এসকেবি/এমআরএ