ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) নারী সহকর্মীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ ও উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজনুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।
ঢাবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ড. মিজানের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে নিটারের ৩৭ জন শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার নারীরদের মধ্যে দুইজন লিখিতভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বক্তব্য দিয়েছেন তারা।
ভিকটিমদের একজন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায় আচরণের বিচার চাই। ’ লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাকে সহকারী দিয়ে ডেকে রুমে নিয়ে যেতেন। তখন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন, রিসোর্টে যেতে বলতেন। রাজি না হলে আমাকে ছুটি না দিয়ে বেতন কাটা হয়। বারবার কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। করোনার পরে একদিন অফিসে ডেকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে, তখন আমি অনেক কষ্টে ছুটে আসি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। পরবর্তীতে আমাকে সরি বলে। বলেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু করবেন না, আমি যেন এসব কাউকে না বলি। ’
আরেকজন বলেন, ‘স্যারকে আমরা সবাই ভয় পাই। এই জিনিসগুলো আমি বুঝি নাই। কখনও যে (আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া) আমি বিষয়গুলো বলতে পারব, সেই সাহসটুকু ছিল না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। ’
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘গবেষণা করলে পদোন্নতি হবে একথা বলে বার বার রুমে ডাকতেন। একাধিকবার ওনাকে এড়িয়ে যাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টার পরও তিনি বারবার আমাকে গবেষণার নামে তার রুমে বসিয়ে রাখতেন ও আমার শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করতেন। এ কারণে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হই। এছাড়া মিটিংয়ে একাধিকবার সহকর্মীর সামনে আমাকে গালিমন্দ করেছেন। ’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যখন ঘটেছে তখন কেন অভিযোগ দেয়নি। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে। ’
আর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি ভালোভাবে অবহিত নই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা নভেম্বর ২৪,২০২১
এসকেবি/এমএমজেড