ফেনী: ফেনী ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের নবীনরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য অতিথিরা উপস্থিতি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. এরশাদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব ডা. এ এস এম তবারক উল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক তায়েবুল হক, রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম।
বক্তারা বলেন, ফেনী ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক নিয়োগে কোনো আপস করা হয় না। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা এখান থেকে দেশে-বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব ডা. এ এস এম তবারক উল্লাহ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের নিয়মিত পদচারণা থাকতে হবে; পরস্পরের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া বাড়াতে হবে। তবেই তোমরা উন্নতি করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমাদের শিক্ষার গুণগতমান আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক তায়েবুল বলেন, গাছের পরিচয় ফলে। ফেনী ইউনিভার্সিটি যদি গাছ হয়, ইইই বিভাগ হচ্ছে সেই গাছের ফল।
ইইই বিভাগের প্রশংসা করে রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের বলেন, আমার মতে, ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের মধ্যে ইইই বিভাগই সর্বাধিক উদ্ভাবনী কাজ করছে।
সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, কিছুদিন আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের ইইই বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করতে এসেছিলেন। এতেই বোঝা যায় আমাদের ইইই বিভাগ কেমন।
বিদায়ী বক্তব্যে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এখলাস উদ্দিন খন্দকার বাবলু বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নিচ্ছি, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গ সর্বদা যুক্ত থাকবো।
আরেক কৃতি বিদায়ী শিক্ষার্থী পুলক গুহ বলেন, তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাও সমান জরুরি। ফেনী ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগে ব্যবহারিক শিক্ষার যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়েও নেই।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় জানানো হয়। সবশেষে বিভাগের চেয়ারম্যান মো. এরশাদুল হককে শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি ডিগ্রি নিতে যাওয়া উপলক্ষে সবার পক্ষ থেকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এসএইচডি/এমজেএফ