ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের জন্য তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শুক্রবার (৩ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে। আমাদের চাহিদা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আজকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষার পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা মনে করি, আমাদের শিক্ষা অবশ্যই জীবনমুখী হতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে অবশ্যই কর্মমুখী শিক্ষা আমাদেরকে আনতে হবে। এ জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের গবেষণা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তাভাবনার অবশ্যই এখানে দরকার রয়েছে। আমরা কীভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে আরও ভালোভাবে আগামীর জন্য প্রস্তুত করতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেছে। আমাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে, জীবনমানের পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষায়ও পরিবর্তন আসছে ডিজিটালের মাধ্যমে। আমি মনে করি অত্যন্ত মানবিকভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল সেটিতে এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমি মনে করি বাংলাদেশের সৃষ্টির যে আলোকবর্তিকা যেটা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল সেই কৃতিত্বের সিংহভাগই অংশীদার, দাবিদার আমাদের এই প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে ঢাবির অবদান এককভাবে ৫০ ভাগের বেশি উল্লেখ করতে হবে। কাজেই আমাদের জাতির যা কিছু বলেন একক কৃতিত্বের দাবিদার এই বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির যে গৌরব তার পতাকা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০২১
এসকেবি/এমএমজেড