ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর খবরে সারাদেশে শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতনে শাহ আমানত হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অপমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ছাত্র সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কিছু ছাত্র শাহ আমানত হলে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচনকে কেন্দ্র তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালান। তিনি বাসায় ফিরে এ ঘটনা তার পরিবারকে জানান। শিক্ষার্থী নামধারী দুর্বৃত্তদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধই একজন শিক্ষকের নৈতিক শক্তির ভিত্তি। কুয়েটের শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন ছাত্রনামধারী দুর্বত্তদের অনৈতিক চাপে মাথানত না করে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রেখেছেন। আমরা ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।

অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, কুয়েট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠনসহ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কুয়েট কর্তৃপক্ষের এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তবে কমিটি যেন সবধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করে এবং কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এ ধরনের ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ করতেই হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের চিহ্নিত হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা ও শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এসকেবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।