ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে সনৎ কুমারের যোগদান

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
রাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে সনৎ কুমারের যোগদান

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক’ হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা।  

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি।

যোগদানের পর অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যে সম্মান দিল, তার সম্মান রাখতে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করব। কর্মজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও স্থায়ীভাবে কাজ করিনি। জীবনের শেষ সময়েও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার এ যোগটা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজিমুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামসহ অনেকে।  

জানা যায়, অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহার জন্ম ১৯৪১ সালে। রাজশাহীর বি.বি. হিন্দু একাডেমি থেকে ১৯৫৫ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫৭ সালে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। একই কলেজের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৫৯ সালে বিএ সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।  

১৯৬২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরই মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে এমএসসি ডিগ্রিও গ্রহণ করেন। তবে পিতার অকস্মাৎ মৃত্যুর কারণে পিএইচডি সম্পন্ন না করেই দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কলকাতায় আশ্রয় নেন। মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা ও যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনের প্রয়াসে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্ল্যানিং সেলে অর্থনীতিবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আবার পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশ-বিদেশের বহু নামকরা একাডেমিক জার্নালে তার ২০টির বেশি একাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৯৯ সালে সনৎকুমার সাহা বাংলা একাডেমি প্রদত্ত সাদত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। ২০১১ সালে তার বই কবিতা-অকবিতা রবীন্দ্রনাথ মননশীল শাখায় প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার লাভ করে। ২০১২ সালে প্রবন্ধসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০১৫ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক। একটি নির্বাচনী বোর্ডের মাধ্যমে মনোনয়নের পর গত ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আইবিএস বোর্ড অব গভর্নরসের সভার সুপারিশে ১১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫০৯তম সভায় তার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।