দিনাজপুর: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি দিনাজপুর বোর্ডের সর্বোচ্চ পাসের হার।
এসএসসিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান।
সম্মেলনে তোফাজ্জুর রহমান জানান, এবারে পাসের হার বেশি হওয়ার কারণ বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পরীক্ষার নম্বর যোগ হয়েছে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে। বিভাগ অনুযায়ী মোট তিনটি করে বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। সাধারণত শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিত বিষয়েই বেশি ফেল করে। যেহেতু এবারে ওই বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি তাই এবারে পাসের হার বেশি।
তিনি আরও জানান, এবারে অনুপস্থিতির সংখ্যাও বেশি। এর কারণ হতে পারে করোনাকালীন সময়ে অসুস্থতা কিংবা বাল্য বিয়ের শিকার। তবে কেন এবার পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির সংখ্যা কম সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
বোর্ড থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা গেছে, এবারে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ২২৩ জন শিক্ষার্থী ২৭৫টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্র পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ছাত্রীর পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ১৭ হাজার ৫৭৮ জনের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৭২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯০৬ জন।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে এবার শতভাগ পাস করেছে ৪৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
পরিসংখ্যান বলছে, এবার এ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার বিগত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ ছিল। গত ২০২০ সালে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ, ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৮৩ দশতিক ৯৮ শতাংশ, ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এবারে বিগত বছরগুলোর তুলনায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যাতেও ছিল সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ৮৬ জন, ২০১৯ সালে ৯ হাজার ২৩ জন, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭৫৫ জন, ২০১৭ সালে ৬ হাজার ৯২৯ জন, ২০১৬ সালে ৮ হাজার ৮৯৯ জন এবং ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৮৪২ জন।
শুধু তাই নয়, এবারে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি। গত ২০২০ সালে এ বোর্ডে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৫৮ জন, ২০১৯ সালে ১ হাজার ২৫৯ জন, ২০১৮ সালে ৯৯৪ জন, ২০১৭ সালে ৭১৮ জন, ২০১৬ সালে ৭২৯ জন এবং ২০১৫ সালে ৬৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসআরএস