ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

রাবি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নেন তারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত প্রশাসনের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে ৫টায় পুনরায় জরুরি সভা ডাকে রাবি প্রশাসন৷ 

কর্মসূচিতে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম উদ-দৌলা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চলবে তার নিজস্ব নীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি পার্ট। একটি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও আরেকটি বড় পার্ট হলো শিক্ষার্থী। তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আজকে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছি। কিন্তু এ দেশে এখনো কোনো শিক্ষার্থীবান্ধব, অর্থনীতিবান্ধব ও শ্রমজীবী মানুষবান্ধব কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তার পার্থক্য থাকার কথা না। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মাধ্যমে কর্মঘণ্টা নষ্ট করবেন আর সেটার ভুক্তভোগী হবেন শিক্ষার্থীরা, তা হতে পারে না। আমরা আশা করবো, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিং রয়েছে সেখান থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি সিদ্ধান্ত আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের যে ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য মিটিং হবে৷ তা শুনে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। প্রায় দেড় বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। আমরা মাত্র ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েছি৷ সামনে সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা৷ এর মধ্যেই পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের টালবাহানা চলছে। নিঃসন্দেহে তারা শিক্ষাখাতকে নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। আজকের সভা শেষে আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষে যদি কোনো সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমরা তাদের সাধুবাদ জানাবো৷ আর যদি আমাদের বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হোসেন বলেন, করোনার প্রভাবে দীর্ঘসময় বন্ধের পর সব কিছু আবার স্বাভাবিকভাবে চলছিল। শিক্ষার্থীরা হতাশা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের হাল ধরার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে। ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের জন্য মিটিং হবে। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার সম্পর্কে চিন্তা না করেন তাহলে শিক্ষার্থীরা দিন দিন আরও হতাশার মধ্যে পড়বেন।

এসময় 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক রাখতে হবে', শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা রুখে দাও', 'শিক্ষা বাঁচাও, দেশ বাঁচাও', শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না', 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হও' ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।