ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ৪৬তম সমাবর্তনে প্রধান বক্তা প্যাসকেল লামি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক প্যাসকেল লামি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ মাচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ৪৬তম সমাবর্তনে ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল ডিগ্রির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, সে সকল গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন।

সমাবর্তনে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে ১১ মার্চের মধ্যে একই দপ্তরে তা জমা দিতে হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবর্তনের ফরম সংগ্রহ করা যাবে। অংশগ্রহণকারীদেরকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা নির্দিষ্ট একাডেমিক পোশাক পরতে হবে।

গ্র্যাজুয়েটদের কেউ আগে ডিগ্রির মূল সনদ সংগ্রহ করে থাকলে তাদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে মূল সনদ জমা দিয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) প্যান্ডেলে সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্র ও পোশাক নিতে হবে।

৪৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদসমূহের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি এবং অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তুতি সভায় সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সভায় একটি নির্বাহী কমিটি, একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ২৩টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্যাসকেল লামি বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় প্রসংশনীয় অবদান রেখেছেন। তার বিভিন্ন কার্যক্রম বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে। এসব প্রসংশনীয় কার্যক্রমের জন্য আমরা তাকে প্রধান সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ’

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের নাগরিক প্যাসকেল লামি ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি দ্বিতীয় দফায় সংস্থাটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।