ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্যাট

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
ঢাবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্যাট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থী নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে স্টুডেন্ট এগেইনস্ট টর্চার (স্যাট) নামে যাত্রা করেছে একটি সংগঠন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান নির্যাতন, নিপীড়ন ও সহিংসতাকে আমরা মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে দেখি। নাগরিকরা কোনো নির্যাতন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক দণ্ডের শিকার হবে না- এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তেমনি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা যেকোনো নির্যাতন, নিপীড়ন কিংবা সহিংসতার শিকার হবে না, তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি আবাসিক হলগুলোর অতিথি কক্ষে। যা নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারকেও নীরবে হরণ করছে।

তিনি বলেন, আমরা এবারের প্রতিবেদনে নির্যাতনকারীর নাম প্রকাশ করছি না। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে আমরা নির্যাতনকারীর নাম, বিভাগ, হল এসব প্রকাশ করবো। প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দেব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আচার্য ও আদালতের দ্বারস্থ হবো। রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

গত কয়েক মাসের ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার আগে বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর আশ্বাস দিয়েছিলেন যেকোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার পর নির্যাতন শুরু হয়। এসব নির্যাতনের মধ্যে মাত্র তিনটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সেগুলো নামমাত্র ব্যবস্থা। ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন নির্বিকার থাকে, বাকি ৩০ শতাংশ নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা মহামারির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার পর গত ৫ মাসে ১৮ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়া তিনজন সাংবাদিক ও দুজন ফটো সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নির্যাতকের ভূমিকা পালন করেছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এসকেবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।