ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ মানববন্ধন

ময়মনসিংহ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ওয়ালিদ নিহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ না করায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।  

সেইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে তাদের স্ব-স্ব হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলেরও সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- নাট্যকলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সামিউল হক হিমেল, ফোকলোর বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আবু নাঈম আব্দুল্লাহ, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের মোমেন সরকার ও একই বিভাগের তারভির আহমেদ তুহিন।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আবু সোলায়মান নাঈমকে সতর্ক করে হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের সুপারিশ করা হয়। লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সারজীল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. পলাশ, ইইই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জোবায়ের আহমেদ সাব্বিরকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয় এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মো. ছনিক মিয়া, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোজাহিদ হোসেন সজিব ও পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সৌরভ হোসেনকে হলের বরাদ্দকৃত আসন বাতিলের সুপারিশ করা হয়।  

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্ত ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  

এছাড়া অন্যান্য যারা আছে তাদের বঙ্গবন্ধু হলের সিট বাতিল ও সতর্কীকরণের নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তটি আগামী সিন্ডিকেটে প্রতিবেদন আকারে উল্লেখ করা হবে। তবে এর আগেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি।  

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ষড়যন্ত্রের শিকার আখ্যা দিয়ে নিহাদ নির্যাতনের ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন। সেইসঙ্গে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো দল বিবেচনা করিনি, আমরা ন্যায় বিচারের প্রশ্নে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনত তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।