ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গুচ্ছে থাকার পক্ষে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়, সময় চেয়েছে জবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
গুচ্ছে থাকার পক্ষে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়, সময় চেয়েছে জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): গত বছর প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নানা অব্যবস্থাপনা, আর শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হওয়ায় এবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

এ অবস্থায় ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা গত বারের ন্যায় এবারও গুচ্ছে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও মত দেননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের উপাচার্যদের এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিগত বছরের পরীক্ষা বিষয়ে পর্যালোচনা এবং এবারের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জবি ভিসি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা এতে সশরীরে উপস্থিত থাকলেও কয়েকজন ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

সভায় গুচ্ছ থাকবে নাকি আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সেখানে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি আরেকবার গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। একমাত্র জবি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছে। তবে ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের পক্ষে মত দিলেও যেহেতু আগেরবার কিছু অব্যবস্থাপনা  ছিল তাই তারা এটাকে সংস্কার করতে বলেছেন। এ ছাড়া সঙ্কট কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়েও সভায় আলাপ হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরও।

তিনি বলেন, জবি ছাড়া বাকি ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যে থাকছে না তা নয়, তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন।  

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে গুচ্ছ পদ্ধতিতে গিয়েছি, সেজন্য এ বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।

গত বছর ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর ও আর্থিক ক্ষতি কমাতে গুচ্ছের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও খুব একটা কাজে আসেনি এই পদ্ধতি। গুচ্ছ কমিটি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতি কমাতে সক্ষম হয়নি। উল্টো ভোগান্তি বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ছাড়া ঢাবি, জাবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আসেনি। সুতরাং ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ঠিকই সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটতেই হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।