ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে ইনোভেশন হাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে ইনোভেশন হাব

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের লক্ষ্যে পরিবেশগত ও সামাজিক অভিলক্ষ্য নিরূপণে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টিম উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে প্রস্তাবিত ইনোভেশন হাব স্থাপনে সংশ্লিষ্ট দিক নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপাচার্য হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভৌগলিক অবস্থান ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য পূরণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভশন হাব প্রতিষ্ঠিত হলে, তা কেবল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই নয়, বরং এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী, গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রভূত উপকারে আসবে।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জ্ঞানের সকল শাখার সম্মিলন ঘটানোর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনে সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট অতিরিক্ত সচিব (অব.) ড. মো. বিল্লাল হোসেন ও সোশ্যাল স্পেশালিস্ট মো. নজরুল ইসলাম ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, সিএসই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শেখ কবির আহমেদ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা উপস্থিত ছিলেন।

পরে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ৪ তলাস্থ প্রস্তাবিত ইনোভেশন হাবের স্থান পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রশংসা করেন।

ইনোভেশন হাব তৈরির ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া, প্রশিক্ষণ, গ্রুমিংসহ উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তাদের নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

উদ্যোক্তারা প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, যা তাদের উদ্ভাবন বা স্টার্টআপকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।