ইবি (কুষ্টিয়া): সপ্তম মেধা তালিকার ভর্তি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে তিনটি ইউনিটে এখনো প্রায় ১০০ আসন খালি রয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তথ্য হালনাগাদ না করার কারণে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে পারেনি আইসিটি সেল। এখনো আসন খালি থাকার কারণ হিসেবে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়াকে দুষছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভর্তিচ্ছু ও অবিভাবকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া সব কিছুকে তুচ্ছ করে দিয়েছে। সারাবছর তো আর ভর্তি কার্যক্রম চলতে পারে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনো আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা উপাচার্য (ভিসি) স্যারকে জানিয়েছি ইবি আবার গুচ্ছে গেলে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবো না। আমাদের সিদ্ধান্তে আমরা অনড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরের শেষে ইবির ভর্তি আবেদন শেষ হয়। এতে ২ হাজার ৯৫টি আসনের বিপরীতে ৩৭ হাজার ৭০০ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। প্রথম মেধা তালিকার ভর্তি শেষে ১ হাজার ৭৪৫টি আসন খালি ছিল। পরে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় মেধা তালিকার ভর্তি শেষ হলেও ১ হাজার ৪৭৫টি আসন ফাঁকাই রয়ে যায়। যার ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।
এরপরেও ১ হাজার ২৭০টি আসন ফাঁকাই রয়ে যায়। এসব আসন পূর্ণ করতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে ১৩ শতাধিক ভর্তিচ্ছু সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। শুধু আরবি ভাষা সাহিত্য বিভাগে ৭৯টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছুদের আলাদাভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এতে ডাকা হয়েছিল ৯ হাজার ২২৪ জন ভর্তিচ্ছুকে। তবে এখনো এই বিভাগে চারটি আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় সূত্র।
এদিকে গণবিজ্ঞপ্তির ভর্তি শেষেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬৮টি আসন ফাঁকা ছিল। এরপর পঞ্চম ধাপে ভর্তি শেষে ২৬৭টি আসন খালি রেখেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছিল। আসন খালি সাপেক্ষে তালিকা প্রকাশ করে গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ষষ্ঠ ধাপে ভর্তি শেষেও ১২০টি আসন খালিই রয়ে যায়। ফলে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তির সময় বেঁধে দিয়ে গত ২ এপ্রিল সপ্তম তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই ভর্তি কার্যক্রম শেষেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০টি আসন খালি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০০টির মতো আসন ফাঁকা রয়েছে। সব বিভাগীয় সভপতি তথ্যগুলো আপডেট করেনি। এজন্য ফাইনাল ডাটা বলা যাচ্ছে না। তবে এখনো অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
এসআরএস