ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকায় ৩৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে দৃষ্টিনন্দন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
ঢাকায় ৩৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে দৃষ্টিনন্দন

ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষাকে আনন্দময় এবং বিদ্যালয়কে শিশুর প্রিয় প্রাঙ্গণ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য এক হাজার ১৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে; যার নাম দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প।

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং পরিপূর্ণ উন্নতির ধারাবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস পাবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নতুন রূপে সাজানো হবে। এতে করে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর শিশুবান্ধব শিক্ষাগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত হবে। এছাড়াও উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। সব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সিকদার, প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এ প্রকল্পের আওতায় নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, শিশুদের খেলাধুলা, বিনোদন ও অভিভাবকদের ওয়েটিং রুমসহ শিক্ষাপোযোগী সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের আগে প্রতিমন্ত্রী নতুন বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।