ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির হলে ৮০০ টাকায় এক তালা ৮ চাবি!

মহিউদ্দিন রিফাত, জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
জবির হলে ৮০০ টাকায় এক তালা ৮ চাবি!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কর্তৃপক্ষ তাদের একটি রুমের জন্য একটি তালা ও ৮টি চাবির জন্য ৮০০ টাকা করে আদায় করছে বলে জানা গেছে। অথচ একই তালা-চাবি বিভিন্ন বাজারে ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অতিরিক্ত মূল্য আদায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের ছাত্রীরা।

জানা গেছে, ১৬ তলা বিশিষ্ট হলটিতে কক্ষ আছে ১৫৬টি। প্রতি রুমে ৮ জন করে ছাত্রী থাকেন। একটি রুমে একটি করে তালা ও ৮ জনের প্রত্যেকের একটি করে চাবির জন্য হল কর্তৃপক্ষ ৮০০ টাকা করে নিচ্ছে। অর্থাৎ, আলিফ প্রিমিয়ার কোম্পানির একটি তালার জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।

জবি এলাকার বিভিন্ন বাজার ও দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলিফ প্রিমিয়ার কোম্পানির এ তালা বিক্রি হচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ ধার্যকৃত মূল্যের অর্ধেক দামে। হল কর্তৃপক্ষ নিজেদের কার্যালয় থেকে রুম ও বিছানা নম্বর খাতায় লিখে ছাত্রীদের তালা-চাবি দিচ্ছে।

হলের কয়েকজন ছাত্রী এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন, বাজারে কম হলেও লাভ করতে হল কর্তৃপক্ষ তালা বাবদ দ্বিগুণ দাম নিচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে হলের রুমগুলোর তালা ফ্রি, নেওয়া হচ্ছে শুধু চাবির দাম। প্রতিটি চাবি ১০০ টাকা করে আদায় করছে কর্তৃপক্ষ, সে হিসেবে রুম প্রতি তালার মূল্য ৮০০ টাকা নেওয়া অদ্ভুত ব্যাপার।

শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, তারা রান্নাঘর ব্যবহার করতেন। কিন্তু ময়লা হবে ভেবে এখন সেটি তালা মেরে রাখা হয়।

এ বিষয়ে আবাসিক হলের ছাত্রী ও জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফ্রিন বলেন, তালা দিলে সঙ্গে তো চাবি এমনিতেই দেয়। চাবি বানালেও তো এত টাকা লাগে না। বিষয়টি অযৌক্তিক, এ বিষয়ে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলব। ক্যান্টিন পরিস্কার, হলে গ্যাস চালুর বিষয়েও আলোচনা করব। শিক্ষার্থীদের সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান করা যায় সে কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে এ ব্যাপারে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. শরাবান তোহুরার সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, তালা-চাবি ক্রয় ও বন্টনের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি আছে। কমিটির আহ্বায়ক অপর আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার। তোহুরা এ কমিটিতে ছিলেন না, তাই তালা-চাবি বাবদ কত টাকা নেওয়া হয়েছে তিনি জানেন না।

এরপর অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকারের কাছ থেকে তালা-চাবির অধিক মূল্য আদায়ের ব্যাপারে জানতে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।